how to make a clock

you want clevate a clock using notepad ???? watch video...it is very easy.............










গেম জানাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস






emon‘ব্যাটল অব ৭১’ গেমের একটি দৃশ্যতরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তির হাত ধরেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে চাইছে একদল তরুণ। তারা তৈরি করেছে ভিডিও গেম। নাম ‘ব্যাটল অব ৭১’।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে ব্যাটল অব ৭১ গেমটি তৈরি করেছে ওয়াসিইউ টেকনোলজির প্রোগ্রামাররা। গেমটির প্রতিটি দৃশ্য মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। ১০ ধাপের (লেভেল) এই গেমে যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
ব্যাটল অব ৭১ গেমটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণ দেওয়া হয়েছে। গেমটিতে বঙ্গবন্ধুর ত্রিমাত্রিক মডেল ব্যবহার করা হয়েছে। ওয়াসিইউর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল করিম বলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর একটি থ্রিডি মডেল বানানোর চেষ্টা করেছি, অ্যানিমেশনও করেছি।’
গেমটি তৈরির পেছনে রয়েছে একদল তরুণের কয়েক বছরের শ্রম ও মেধা। ২০১৩ সালের শেষের দিকে গেম তৈরির কথা ভাবেন ওয়াসিইউ টেকনোলজি লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফয়সাল করিম। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রধান গেম নির্মাতা (ডেভেলপার) হিসেবে রয়েছে ফারহান মাহমুদ, অ্যানিমেটর সবুজ আল মামুন, পরিকল্পনা করেছে নুর-ই-আরাফাত এবং ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেছে নাজিম। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রোগ্রামার মাশরুর মাহমুদ। তার বয়স মাত্র ১৪ বছর।
​ব্যাটল অব ৭১ গেম নির্মাণ দলের চার সদস্য l ছবি: খালেদ সরকার২৫ নভেম্বর গেমটি বাজারে আসবে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলবে এই গেম। যেকোনো মানের কম্পিউটারেই খেলা যাবে এটি। তবে কোর আইথ্রি প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র্যাম এবং ২ গিগাবাইট গ্রাফিকস কার্ডসহ কম্পিউটারে ভালো চলবে। গেমটি বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে ১৫০ টাকায়। তবে www.wasiyou.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে আগাম চাহিদা জানালে ছাড় পাওয়া যাবে।
গেমটি বাজারে আসার আগেই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬-এ পুরস্কার অর্জন করছে। বাংলাদেশ থেকেই একদিন বিশ্বমানের ভিডিও গেমস তৈরি হবে বলে স্বপ্ন দেখে তরুণ এই গেম নির্মাতা দলটি। বাংলাদেশের গর্বের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে জানতে গেমটি একবার হলেও খেলার জন্য তারা নতুন প্রজন্মকে আহ্বান জানায়।

আরও সংবাদ

kirisnopur tarakandar












তথ্যছক বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চল
|নাম = পূর্বধলা উপজেলা
|অফিসিয়াল_নাম =
|চিত্র =
|চিত্রের_আকার =
|চিত্রের_বিবরণ =
|ডাকনাম =
|চিত্র_মানচিত্র =
|মানচিত্রের_স্তরের_অবস্থান = right
|অক্ষাংশ_ডি = 24.9333 |অক্ষাংশ_মি =  |অক্ষাংশ_সে =
|দ্রাঘিমাংশ_ডি = 90.6028 |দ্রাঘিমাংশ_মি =  |দ্রাঘিমাংশ_সে =
|স্থানাঙ্ক_পাদটীকা =
|বিভাগ = ময়মনসিংহ বিভাগ
|জেলা = নেত্রকোনা জেলা
|প্রতিষ্ঠার_শিরোনাম =
|প্রতিষ্ঠার_তারিখ =
|আসনের_ধরন =
|আসন =
|নেতার_দল =
|নেতার_শিরোনাম =
|নেতার_নাম =
|আয়তনের_পাদটীকা =
|মোট_আয়তন = ৩১২.৩০
|আয়তন_টীকা =
|জনসংখ্যার_পাদটীকা = <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://purbadhala.netrokona.gov.bd/node/403800-এক-নজরে-পুর্বধলা-উপজেলা | title= এক নজরে পুর্বধলা উপজেলা |author= বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |date= জুন, ২০১৪ |website= |publisher= গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |accessdate= ১০ জুলাই,  ২০১৫}}</ref>
|মোট_জনসংখ্যা = ২,৩৫,৬৭৫
|এই_অনুযায়ী_জনসংখ্যা = ২০১১
|জনসংখ্যার_ক্রম =
|জনসংখ্যা_টীকা =
|স্বাক্ষরতার_হার = %
|স্বাক্ষরতার_হার_পাদটীকা =
|ডাক_কোড =
|ওয়েবসাইট = purbadhala.netrokona.gov.bd
|পাদটীকা =
}}

'''পূর্বধলা''' বাংলাদেশের [[নেত্রকোনা জেলা]]র অন্তর্গত একটি [[উপজেলা]]।

== অবস্থান ==
এর উত্তরে [[দুর্গাপুর উপজেলা]], দক্ষিণে ময়মনসিংহ জেলার [[গৌরীপুর উপজেলা]], পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলার [[ফুলপুর উপজেলা]], পূর্বে [[নেত্রকোনা সদর উপজেলা]]।

== প্রশাসনিক এলাকা ==
পূর্বধলা উপজেলায় ইউনিয়নের সংখ্যা ১১টি । গ্রামের সংখ্যা- ৩৩৪টি। মৌজা- ২২৩টি । উপজেলার অন্তর্গত ইউনিয়ন গুলো হচ্ছেঃ
* বৈরাটি ইউনিয়ন,
* জারিয়া ইউনিয়ন,
* আগিয়া ইউনিয়ন,
* বিশকাকুনি ইউনিয়ন,
* খলিশাপুর ইউনিয়ন,
* গোয়ালাকান্দা ইউনিয়ন,
* নারান্দিয়া ইউনিয়ন,
* হোগলা ইউনিয়ন,
* ঘাগড়া ইউনিয়ন,
* পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন এবং
* ধলামুলগাঁও ইউনিয়ন।
== ধলামূলগাঁও ==
পূর্বধলা উপজেলার একটি অন্য তম ইউনিয়ন  হল ধলামূলগাঁও। বর্তমানে এটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে পরিচিত । শিক্ষা-দীক্ষা, আচার-আচরণ , সচেতনতায় ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের বাড়ীয়ল, কুমদী, নেয়াশী অন্যতম গ্রাম হিসাবে পরিচিত।
== ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের অন্যতম গ্রাম (বাড়ীয়ল, কুমদী, নেয়াশী) ==

== ইতিহাস ==
১৮৭৪ সাল থেকে পূর্বধলা উপজেলা সুসঙ্গ দুর্গাপুর পরে নেত্রকোণা সদর থানার একটি ফাড়ি থানা ছিল। ১৯১৭ সালের ২১ আগষ্ট সেক্রেটারী গর্ভমেন্ট অব বেঙ্গল এইচ, জে, টিনামের আদেশক্রমে পূর্বধলাকে পূর্ণাঙ্গ থানা (পুলিশ স্টেশন) প্রতিষ্ঠা করেন। সে সনে পূর্বধলা থানার আয়তন ছিল ১২৪ বর্গ মাইল । জনসংখ্যা ছিল ১১০.২৫৫ জন ।

এক সময়কার সুসঙ্গ পরগনা ভুক্ত ছিল পূর্বধলা । পূর্বধলা, ঘাগড়া, বাঘবেড়, নারায়ণডহর, মুক্তাগাছা, সুসঙ্গ ও শেরপুরের জমিদারদের শাসনাধীন ছিল।

== জনসংখ্যার উপাত্ত ==
জন সংখ্যা ২,৮০,৪৬০ জন।

== শিক্ষা ==পূর্বধলা শিক্ষার হার ৮০%

== অর্থনীতি ==

== পৌরসভা ==
পূর্বধলা সদর ও আগিয়া ইউনিয়নের ১৩.২৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে ১৩ মার্চ ২০০৬ খ্রীস্টাব্দে পৌরসভা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
(এটি পরবর্তিতে বাতিল করা হয়)

== ঐতিহাসিক স্থাপত্য ==
ঘাগড়া ইউনিয়নের সোনাইকান্দা ও লেটিরকান্দা গ্রামে মোগল যুগের ১ গোম্বজ বিশিষ্ট্য মসজিদ। একই স্থাপত্য রীতিতে বৈরাটি ইউনিয়নের লালচাপুর গ্রামে মোগল যুগের মসজিদ। লেটিরকান্দা গ্রামে পাগলপন্থীদের সমাধি  প্রাচীর বেষ্টনী, হোগলার প্রাচীন মন্দির। বাঘবেড়, নারায়ণডহর জমিদার বাড়ীর ভগ্নাবশেষ।

== নদী ও বিল ==
পূর্বধলার উল্লেখযোগ্য নদী হচ্ছে [[ধলাই নদী|ধলাই]] ও লাউয়ারী। রাজধলা পূর্বধলার উল্লেখযোগ্য বিল। এ বিলটির আয়তন ১৫০ একর। এছাড়া কুমা বিল, হলিদা, সিংরা, চিনাকুড়ী, রৌহা, ধলা চাপড়া, পদমাই, ডুবা বিল উল্লেখযোগ্য। খাল কুমারখালী ও কুকুয়াখালী। খানীগাং ১৩০৪ সালের ভূমিকম্পে ভরাট হয়ে গেছে। ১৩০৪ সালের ভুমিকম্পে বেশ কিছু স্থানে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। যেমন- খলিশাউড় ইউনিয়নের শিমুলকান্দি, একই ইউনিয়নের কুড়পাড় নামক স্থানে এ জলাশয় গুলো এখনো রয়েছে। স্থানীয় ভাবে এগুলো কুড় নামে পরিচিত।

== কৃতী ব্যক্তিত্ব ==
<!--'''করম শাহ''' (জন্ম- ১৭১০ খ্রীঃ , মৃত্যু ১৮১৩ খ্রীঃ) করম শাহর বিশাল কর্মময় জীবন শেরপুর ও সুসঙ্গ পরগনায় অতিক্রান্ত করেন। শেষ জীবনে আবাস স্থাপন করেন সুসঙ্গ পরগনার পূর্বধলার লেটিরকান্দা গ্রামে। তিনি পাগলপন্থী মতাদর্শের জনক। করম শাহর পিতা ছিলেন সের আলী গাজী যিনি শেরপুর পরগনার জমিদার ছিলেন। ৯৯৪ বঙ্গাব্দে সেরপুরের পূর্ব কাঁচারীবাড়ী দর্শা গ্রামের কননগু রমাবল্লব নন্দীকে হত্যার অপরাধে সের আলী গাজীকে জমিদারী চ্যুত করা হয়েছিল। সে সময় অবশ্য সেরপুরের নাম ছিল দশকাকনীয়া। পরে হিন্দু জমিদারদের ষড়যন্ত্রেই সের আলী গাজী নিহত হয়ে ছিলেন। অসহায় অবস্থায় মায়ের সঙ্গে কিছু দিন যাপন করেন। পরে সুসঙ্গ পরগনার শংকরপুর নামক স্থানে বসবাস শুরু করেন। তিনি সুফীবাদের অনুসারী ছিলেন। অনেক ঐতিহাসিক তাকে ধর্ম সংস্কারক ও ভবিষৎ দ্রষ্টা বলেও অখ্যায়িত করেছেন । ১৭৭৫ খ্রীস্টাব্দে করম শাহ তার আবাস স্থানান্তর করে বর্তমান পূর্বধলার লেটিরকান্দায় নিয়ে আসেন। একই সাল থেকে করম শাহ গারো পাহাড় অঞ্চলের উপজাতিদের সাম্যমূলক পাগলপন্থী মতবাদে দীক্ষা দিতে থাকেন । ১৭৮৬ সাল থেকে ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সেরপুর পরগনায় জমিদার তথা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন।

করম শাহর বাল্যনাম ছিল চাঁদ গাজী। জমিদার তথা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার পর তিনি নিজেকে করম শাহ নামে পরিচিত করে তোলেন। কোথাও কোথাও তাকে করিম শাহও বলা হতো। ১৮১৩ খ্রীস্টাব্দে তিনি নিজবাড়ী লেটিরকান্দায় মৃত্যু বরণ করেন। নিজ বাড়ীর আঙ্গীনাতেই তাকে সমাহিত করা হয়েছে।

'''টিপু শাহ ওরফে টিপু পাগলা''' (জন্ম -অজানা , মৃত্যু  মে ১৮৫২ খ্রীঃ) পাগলপন্থীর জনক করম শাহ-র দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান টিপু শাহ। পিতার উত্তরসূরী হিসেবে টিপু পাগলা পাগলাপন্থী মতবাদ প্রচার শুরু করেন। ১৮১৩ খ্রীঃ করম শাহ-র মৃত্যুর পর পিতার প্রবর্তিত মতবাদের উত্তরাধিকার টিপু পাগলার উপর বর্তায়। এ নিয়ে বৈমাত্রিয় ভাই ছপাতি শাহ-র সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ছাপাতি শাহর পুত্র খাইস্যা মিয়া টিপু কে হত্যার চেষ্টাও করে। কিন্তু শিষ্যদের কাছে টিপু শাহ-র খুব গ্রহণ যোগ্যতা ছিল। টিপু শাহ-র পিতার মতবাদ ও পিতামহের হারানো সেরপুরের জমিদারী উদ্ধারে কথা মনে লালন করতেন।

শেরপুরের জমিদারদের শরিকী বিবাদ ও কৃষক প্রজাদের উপর উত্তরোত্তর খাজনা বৃদ্ধি টিপুর মনোবাসনা পূরনের সুযোগ এনে দিয়ে ছিল। ১৮০২ খ্রীস্টাব্দ থেকেই সেরপুর পরগনার ও সুসঙ্গ পরগনার কৃষক ও উপজাতিদের মাঝে ব্যাপক জাগরণ শুরু হয়েছিল। ১৬ সেপ্টেম্বর ১৮২৪ খ্রীস্টাব্দে জামালপুর শেরপুর ভায়া সুসঙ্গের দিকে রাস্তা নির্মান হচ্ছিল। রাস্তায় মাটি কাটার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল হদি সম্প্রদায় ও পাগলপন্থীদের। সুযোগ বুঝে টিপু  হদিদের বুঝাতে পেরেছিলেন, মাটি কাটার কাজ করবে সেরপুরের কয়দীরা। কিন্তু হদিদের দ্বারা মাটিকাটার কাজ করানো তে তাদের জাত যাচ্ছে। হদিরা যুক্তি মেনে বিদ্রোহ করলো মাটিকাটবেনা। এভাবেই হদিদের মাঝে নিজের নের্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন নেন টিপু পাগলা। হদিরাও টিপুর নের্তৃত্ব মেনে নেয়। রায়ত প্রজারা জমিদারদের মাত্রাতিরিক্ত খাজনা অত্যাচার ও উৎপীড়নের হাত থেকে উদ্ধারের পথ অন্বেষনে ছিল। তাই ১৮২৫ পাগলপন্থী মতাদর্শীরা ১৮২৫ খ্রীস্টাব্দেই বিদ্রোহের উপযুক্ত সময় হিসেবে বেচেঁ নেয়। টিপু পাগলের রাজনৈতিক চালে পূর্বধলার লেটির কান্দায় এক সভা হয়। সে সভায় কৃষক প্রজারা ঘোষণা করে-টিপুর পূর্ব পুরুষ ছিল সেরপুরের জমিদার,তাই বর্তমানেও টিপু তাদের সুলতান । বিদ্রোহ ক্রমে তুঙ্গে, উঠে  ৮ জানুয়ারি ১৮২৫ খ্রীস্টাব্দে। প্রজারা জমিদারদের খাজনা না দিয়ে টিপুর নামে সুলতানী ও তার মা’র নামে শির্নী পাঠাতে শুরু করলো । ৮ জানুয়ারি ১৮২৫ থেকেই সেরপুরের জমিদারদের বাড়ীতে ধন- সম্পদ রর্থে সৈন্য মোতায়েন ছিল। ১৯ জানুয়ারি ১৮২৫ খ্রীস্টাব্দে সেরপুরের জমিদার বাড়ীতে বিদ্রোহী প্রজারা আগুন ধরিয়ে দেয় ও ধন সম্পদ লুটে নেয়। এতে জমিদাররা ভীত হয়ে শেরপুরের মৃগী নদীর উত্তর তীরে কালীগঞ্জে  ম্যাজিষ্ট্রেট ড্যাম্পিয়র এর কাঁচারী বাড়ীতে আশ্রয় নেয়।

এ সুযোগ টিপু শাহ পাগল ওই অঞ্চলে নূতন রাজ্য স্থাপন করে। তিনি বিচার বিভাগ ও শাসন বিভাগে লোক নিয়োগ করে গড় জরিপা নামক স্থানে প্রাচীর অভ্যন্তরে বাসস্থান করে রাজ্য পরিচালনা করেন। ১৮২৫ থেকে ১৮২৭ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত এ রাজ্য পরিচালিত ছিল। ১৮২৭ খ্রীস্টাব্দে রাধাচরন দারোগা ১০ জন বরকন্দাজসহ গড় জরিপায় প্রবেশ করে টিপু  শাহ পাগল কে কৌশলে গ্রেফতার করে। বিচারে ময়মনসিংহের সেসন জজ টিপু পাগলাকে যাবজ্জীবন কারা ভোগের রায় দেয়। সেই কারাভোগ অবস্থায় ১৮৫২ সালের মে মাসে ময়মনসিংহ জেল খানায় টিপু পাগলার মৃত্যু হয়। পূর্বধলার লেটিরকান্দায় পিতা করম শাহর সমাধির পাশে টিপু পাগলাকে সমাহিত করা হয়েছিল।

'''ছপাতি শাহ''' পাগলপন্থীর জনক করম শাহ্ প্রথম পুত্র ছিলেন ছপাতি শাহ। তিনি গারো পাহাড় অঞ্চলে গারোদেরকে তাঁর শিষ্য করে ছিলেন। ১৮০২ খ্রীস্টাব্দে  নাসিরাবাদ জেলা কালেক্টর লি. গ্রোসের নিকট গারো পার্বত্য অঞ্চলটি জমিদারদের হাত থেকে মুক্ত করে পৃথক একটি  জেলায় পরিণত করে রাজস্ব আদায়ের ভার গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। এটা ছিল তার গারো পাহাড় অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য স্থাপনের প্রয়াস। কিন্তু কালেক্টর লি. গ্রোস রাজী হলেও গর্ভনমেন্ট তার প্রস্তাব স্বমূলে প্রত্যাখ্যান করেন। যারফলে ব্যার্থ হয়েছিল তার নতুন রাজ্য স্থাপনের পরিকল্পনা।

'''লাল মামুদ সরকার''' পূর্বধলা উপজেলার বাঐডহর গ্রামে লাল মামুদ সরকার জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি মুসলিম হয়েও গীতা, মহাভারত রামায়ন, চৈতন্য চরিতামৃত, শ্রীমদভাগবদ অধ্যায়ন করতেন। তিনি হিন্দু ও বৈষ্ণঠাদর্শ চর্চা করে বৈষ্ণব আচার গ্রহণ করেছিলেন। লাল মামুদ সরকার ছিলেন মুলত করিয়াল, কীর্ত্তনীয়া গাইনের গীতের গীতালূ। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে ময়মনসিংহের সৌরভ পত্রিকায় তার উপর বিজয় আচার্য এক নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। লাল মামুদ ১৩১০ বঙ্গাব্দে আনুমানিক ৪০ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। তার অনেক গণ কবিতায় অসাম্প্রদায়িক চেতনা আছে।-->

== সমাজ ব্যবস্থা ==
এ উপজেলায় ধর্মাবালম্বী লোকের বসবাস সংখ্যাগরিষ্ট [[মুসলিম]], ২য় পর্যায়ে [[হিন্দু]] ও ৩য় পর্যায়ে [[খ্রীস্টান]] । তবে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা [[গারো]] সম্প্রদায়ের। এরা মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পরিচালিত । মুসলিম সমাজের দাই সম্প্রদায়ের  বেশ কিছু পরিবার কয়েকটি গ্রামে (যেমন কালডোয়ার, কুতিউড়া, গনকপাড়া গ্রাম) বসবাস রয়েছে। এরা পৃথক সমাজ গঠন করে বসবাস করে।

== বিবিধ ==
<!--
লোক ক্রীড়া :
মেয়েলী খেলার মাঝে উল্লেখযোগ্য থাপড়ি, বৌডুঘু, মোলাবাড়ী। বিশেষ করে শিশুরা পুতুল বিয়ে, খেলানাতিবাড়ী ( মিছে মিছি রান্না) ইত্যাদি । ছেলেরা দারিয়াবান্দা, গোল্লাছুট, চুট্টিয়াবাড়ী, হাডুডু, ছাপখেলা, মার্বেল ইত্যাদি।
শিল্প :
কুমার ও কামার সম্প্রদায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরী করতো । যেমন- কুমাররা সানকী, ডাকনা, বাটি, গাছা, মাটির পুতুল তৈরি করতো। কামাররা দা, কুড়াল, কাচিঁ, বটি, নারকেল কুড়ানী তৈরি করতো। আধুনিক সমাজে এ সকল সামগ্রীর উন্নত ব্যবহারের প্রসার ঘটেছে, ফলে পূর্বধলা উপজেলায় ৮/১০ টি কামার , কুমার পরিবার ছাড়া বাকীরা পেশার পরিবর্তন করেছে।
যোগাযোগ :
পাকা রাস্তা ৮০ কিলোমিটার, সেমিপাকা ১০ কিলোমিটার, কাচা রাস্তা ৬২৫ কিলো মিটার। রেলপথ ২২ কিলোমিটার। সনাতনী যানবাহন এর স্থান দখল করেছে রিক্সা ভ্যান। গ্রামের বিয়েতে রাক্ষার অভাবে কিছু কিছু স্থানে এখনো পালকি ব্যবহার হয়।

উল্লেখযোগ্য হাটবাজারগুলোর মধ্যে-
১.পূর্বধলা বাজার - বৃহস্পতি ও রবিবার।
২.হোগলা বাজার - শনি ও মঙ্গলবার।
৩.ঘাগড়া বাজার -শনি ও মঙ্গলবার।
৪.দেওটুকোণ বাজার- সোম, বুধ ও শুক্রবার।
৫.নারায়নডহর বাজার -শুক্র, সোম, বুধবার।
৬.হিরণপুর বাজার - শনিবার ও মঙ্গলবার ।
৭. শ্যামগঞ্জ বাজার- শুক্রবার ও সোমবার।
৮. কুতিউড়া বাজার টি এক সময় বেশ প্রসিদ্ধ ছিল এখন আর সে বাজারটির অস্থিত্ব নেই।
মেলা :
উল্লেখযোগ্য মেলা চৈত্র সংক্রান্তির মেলা পূর্বধলা জমিদার বাড়ীর সামনে বসতো । এখনো পূর্বধলা কলেজ মাঠে বসে। বারোনী মেলা বসত প্রতি চৈত্র মাসে ১২ তারিখ নারায়নডহর ও পূর্বধলা জমিদার বাড়ীর আঙ্গিনায়; সে মেলা গুলো এখন আর হয় না। ইচুলিয়ার আগল-শংকরের আখড়ায় মাসব্যাপী বসতো লোকজ মেলা। এখন সে মেলা আর বসে না। পৌষের পুর্নিমায় বসে লেটিরকান্দা পাগলবাড়ীর মেলা। মেলাটির লোকজ ধারা এখনো বজায় রয়েছে। কুতিউড়া ফকির বাড়ীতে প্রতি চৈত্র মাসের শেষ দিন ও আশ্বিন মাসের শেষ দিন এক লোকজ মেলাবসে । সে সময় জগদীশ ফকিরের ভক্ত ছাড়াও বহু লোকের সমাগম ঘটে। পৌষ সংক্রান্তিতে নারায়ণডহর হদি পাড়ায় শুকরের  লড়াই হতো। কয়েক দিন ব্যাপী সে লড়াইয়ে হাজার হাজার দর্শক সমাগম হতো। হদিদের আর্থিক সংগতি হ্রাস পাওয়ায় স্বাধীনতাত্তোর সময় কাল থেকে সে লড়াই আর হয় না। প্রতি জৈষ্ঠ্য মাসে খেইড় (কুস্তি) এর আয়োজন হতো নারায়নডহর। এখন আড়ং হয় লাউয়ারী, কাজলা, ইয়ারণ।
খাদ্যাভ্যাস :
পূর্বধলায় সাধারণ মানুষ দেশের প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত। স্থানীয় বিশেষ পিঠা বগনী পিঠা, পাক্কনপিঠা জালিয়া পাপড়া,মেড়াপিঠ।
স্থানীয় পত্র পত্রিকা :
১৬ ডিসেম্বর ১৯৮৬ খ্রীস্টব্দ থেকে “উত্তর আকাশ” নামক একটি সাহিত্য ও সমালোচনা মূলক একটি পত্রিকা প্রকাশ পেতো। মোট ১২টি সংখ্যা প্রকাশের পর আর্থিক কারণে পত্রিকাটি প্রকাশ স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পত্রিকাটি সম্পাদনা করতেন আলী আহাম্মদ খান আইয়োব। স্বনামধন্য অনেক লেখকের লেখা পত্রিকাটিতে মুদ্রিত  হয়েছিল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
১.পূর্বধলা জগৎমণি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পাঠাগার পূর্বধলা।
২.সাধুপাড়া গণকেন্দ্র পাঠাগার, হোগলা, পূর্বধলা।
৩.কাপাশিয়া পাঠাগার, ঘাগড়া, পূর্বধলা।
৪. দেওটুকোণ ব্র্যাক গণকেন্দ্র পাঠাগার, জারিয়া, পূর্বধলা।
কৃষিপণ্য :
পূর্বধলা প্রধান কৃষিপণ্য ধান, কলাই, ও সরিষা। এক সময় বেশ পাট উৎপাদন হতো। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চাষীরা পাট চাষে অনিহা দেখায়।
রাজধলা বিলের চাপিলা মাছ বেশ প্রসিদ্ধ। সে বিলের চাপিলা ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।
শ্রমের মুজুরী কৃষি কাজে প্রতিদিন পুরুষ ১০০/- টাকা, মহিলা- ৬০ /- টাকা।
প্রতি শতাংশ জমি উপজেলা সদরে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা । গ্রামে ৩৫০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা ।
আবাদী জমির পরিমাণ ৭.৩২১ হেক্টর । স্থায়ী পতিত ৩০৭ হেক্টর, সাময়িক পতিত ২৫৯ হেক্টর।
এ উপজেলায় কাঁচাবাড়ীর সংখ্যা বেশী, পরের পর্যায়ে আধাপাকা ,কুঁেড়র ঘরের সংখ্যা খুবকম, । পূর্বধলা সদরে দু একটি আধুনিক বাড়ি রয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা
পূর্বধলায় আধুনিক স্বাস্থ্য সেবার জন্য ১৯৩৬ খ্রীস্টাব্দে গড়েউঠে থানা ডিসপেনসারী। একই সালে আলমপুর গ্রামে জেলা পরিষদ একটি ডিসপেনসারী স্থাপন করেছিল। ১৯৫১ সালে আগিয়া একই সনে জারিয়ায় জেলা পরিষদের ডিসপেন্সারী স্থাপিত হয়েছিল। পূর্বধলায় ১৯৭৫ খ্রীস্টাব্দে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার  কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। পূর্বধলা উপজেলার ৬০% লোক স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার করে।
ভেষজ চিকিৎসার জন্য বেশ খ্যাতি অর্জন করে ছিলেন জারিয়া গ্রামের রাশমন কবিরাজ ও হাটধলা গ্রামের অতুল কবিরাজ। এখনো তার ছেলে ভেষজ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। লোকজ চিকিৎসার ঝাড় ফুঁক এখনো পূর্বধলা প্রচলিত। বিশেষ করে সাপে কামড়ালে পূর্বধলার শিতি ব্যক্তিও ওঝার ঝাড়ফুঁক নেয়।
পানি পান :
পূর্বধলা উপজেলার প্রায় ৯৮% মানুষ টিউবওয়েলের পানি পান করে ।
উপজেলার হোগলা, ঘাগড়া ও জারিয়া ইউনিয়নে কয়েকটি মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে। সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার উদ্যোগে লাল রং করে এ নল কুপগুলোর পানি পান নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বনভূমি : পূর্বধলা উপজেলায় ১৫% বনভূমি রয়েছে।
 সমসাময়িক ব্যক্তিত্বঃ
১. হাজী আমির উদ্দিন মুন্সী : পূর্বধলা উপজেলার খলিশাপুর গ্রামের বন্দেরপাড়ায় হাজী আমির উদ্দিন মুন্সীর জন্ম। তিনি বাউল সাধক, গায়ক ও পুঁথি লেখক ছিলেন। তার রচিত বাহাদুর খাঁ পুঁথিটি তৎকালীন সময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। পুঁথিটি বিংশ শতাব্দির চারের দশকে রচিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।

২. মৌলানা মিরাস উদ্দিন : পূর্বধলা উপজেলার খলিশাপুর পূর্বপাড়া গ্রামে ঊনবিংশ শতাব্দীতে মৌলানা মিরাস উদ্দিনের জন্ম। তিনি পুর্বধলা জগৎমণি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন। মৌলানা মিরাস উদ্দিন ধর্মীয় শিকতার পাশাপাশি বাউল সাধনা ও বাউল গান গাইতেন। তার অসংখ্য গান আজো জনপ্রিয়। স্থানীয় ভাবে তাঁর সাধক পুরুষ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। প্রতি বছর তার মাজার কে কেন্দ্র করে ওরশ অনুষ্ঠিত হয়।
৩. নজমুল হুদা : পূর্বধলা উপজেলার মনারকান্দা গ্রামে ১৯২৯ সালে নজমুল হুদা জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৬১ সাল থেকে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। নজমুল হুদা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যথেষ্ট পরিচিত ছিলেন। তিনি কলকাতাসহ দেশের অনেক মঞ্চে অভিনয় করেছেন।
৪. মৌলভী আব্দুল হামিদ খান : খলিশাপুর খানপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণকারী মৌলভী আব্দুল হামিদ খান। তিনি ভারতের দেওবন্ধ থেকে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন। তিনি খলিশাপুর ইউনিয়নের দীর্ঘ ২২ বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। মৌলভী আব্দুল হামিদ খান খলিশাপুর নিউস্কীম মাদ্রাসা ও ১৯৩৫ সালে খলিশাপুর জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।
৫. নয়ন মিয়া : পূর্বধলা সদরে ১৩২৬ বঙ্গাব্দে নয়ন মিয়া জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন যাত্রা ও থিয়েটার মঞ্চের প্রখ্যাত অভিনেতা। কলকাতা থেকে শুরু করে সারাদেশের যাত্রা মঞ্চে তিনি অভিনয় করে খ্যতি লাভ করেছেন। অনেক মঞ্চে অভিনয় করে পুরস্কৃত হয়েছেন। নবাব সিরাজের চরিত্র রূপায়ণ করে তিনি নাট্যসম্রাট খ্যাতি লাভ করে ছিলেন।
৬. সাদির উদ্দিন আহমেদ : পূর্বধলা উপজেলার ভুগী গ্রামে সাদির উদ্দিন আহমেদ জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে এল.এল.বি ডিগ্রী গ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি এম.এন.এ, ১৯৭৩ সালে এম.পি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাদির উদ্দিন আহমেদ ১৯৭২ সালে সংবিধান কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি এখনো নেত্রকোণায় বিশিষ্ট্য আইনজীবী হিসেবে পরিচিত।
৭. মাহবুব তালুকদার : পূর্বধলা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামে ১৯৪১ সালে মাহবুব তালুকদার জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকাবিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে অনার্স, ১৯৬২ সালে এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। কর্মজীবনে মাহবুব তালুকদার মহামান্য প্রেসিডেন্টের স্পেশাল অফিসার, মহা পরিচালক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, প্রধান সম্পাদক বাংলাদেশ জেলা গেজেটিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২২টি তিনি টেলিভিশন নাটকের নাট্যকার ও চলচিত্রের কাহিনীকার হিসেবে সারা দেশে খ্যাতি লাভ করে ছিলেন। সরকারী খরচে তিনি অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন।
৮. কর্ণেল আবু তাহের (বীররোত্তম): পূর্বধলা উপজেলার কাজলা গ্রামে ১৯৩৮ সালে কর্ণেল আবুতাহের (বীররোত্তম) জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬০ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদেন। কর্ণেল আবু তাহের মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টেরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ১৪ নভেম্বর ১৯৭১ সালে কামালপুর যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পাক সেনাদের সেলের আঘাতে তিনি একটি পা হারান। চিকিৎসা শেষে ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে সেনাবাহিনীর এডজুটেন্ট জেনারেল নিয়োগ পান। একই বছর জুন মাসে ৪৪ তম ব্রিগেডের অধিনায়কের দায়িত্ব লাভ করেন। সে সময় তিনি প্রচলিত ব্যারাক আর্মির স্থলে পিপলস আর্মিগড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। জাতীয় সেনাবাহিনী সম্পকীত নীতি নির্ধারণের প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দেয়। ১৮৭২ সালের সেপ্টেবরে তিনি সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭২ সালে অক্টোবর মাসে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদেন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক কমিটির সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে নির্মম হত্যার পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের কারণে সাধারণ সেনাদের মাঝে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সে প্রোপটে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে আবু তাহের সিপাহী জনতার গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। একই বছর ২৪ নভেম্বর গ্রেফতার হন। কারাগারে আটক অবস্থায় সাময়িক ট্রাইবুনালের বিচারে তাঁর মৃত্যুদন্ড হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়। কর্ণেল তাহের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ন অবদানের জন্য বীররোত্তম উপাধিতে ভুষিত হয়েছিলেন।
৯. এম. আর. খান : পূর্বধলা উপজেলার ভিকুনীয়া গ্রামে ১৯০৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এম. আর. খান । পাট ব্যবসায়ী হিসেবে তৎকালীন সময়ে তারঁ খ্যাতি ছিল। তিনি বাংলাদেশের পাট ব্যবসায়ীদের পথিকৃৎ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এম.আর. খানের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট। তিনি বিদেশে চা রপ্তানী করেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছিলেন। ময়মনসিংহ শহরে তিনি তার মা’র নামে মুমিনুন্নিছা মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া অনেক সামজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে এলাকায় প্রশংসা অজর্ন করেছিলেন। এম.আর খানের প্রকৃত নাম মজুতুর রহমান খান।
১০. এডভোকেট মোশারফ হোসেন : লাউখাই, পূর্বধলা, নেত্রকোণা। তিনি ১৯৭৯ ও ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১১. প্রিন্সিপাল সিরাজুল ইসলাম : ধলা যাত্রাবাড়ী, পূর্বধলা, নেত্রকোণা। তিনি পূর্বধলা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১২.  ডা. মোহাম্মদ আলী : বাড়হা , পূর্বধলা, নেত্রকোণা। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি দলদলা উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্বধলা রাবেয়া আলী মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
১৩. মুহ. আব্দুল হাননান খান : খলিশাপুর, পূর্বধলা, নেত্রকোণা। তিনি ১৯৬১ সালে শিক্ষা আন্দোলনে কিশোরগঞ্জ মহুকুমা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়ে ছয় মাস কারাভোগ করেন। ১৯৭২ সালে পুলিশ বিভাগে কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চারনেতা হত্যার মামলাসহ দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক হত্যার মামলার তদারকী কর্মকর্তা ছিলেন। শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিনি প্রতিষ্ঠাতা।
১৪. দেবদাস জোয়ারদার : পূর্বধলা উপজেলার কালীহর গ্রামে ১৯৩৪ খ্রীঃ দেবদাস জোয়ারদারের জন্ম । তিনি পূর্বধলার ঘাগড়া ও সাধুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরে যাদবপুর বাস্তহারা বিদ্যাপীট থেকে ম্যাট্রিক, বঙ্গবাসী কলেজ থেকে আই.এ, প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে বি.এ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। দেবদাস জোয়ারদার কলকাতার মাওলানা আজাদ কলেজে অধ্যাপনা করতেন। তিনি রবীন্দ্র চর্চা ভবনের রবীন্দ্র সাহিত্যের অবৈতনিক শিক্ষক ছিলেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থ, তোমার সৃষ্টির পথে, রবীন্দ্রনাথের চিত্রা বেশ পাঠক প্রিয়তা অর্জন করেছিল।
১৫. মনির উদ্দিন সরকার : পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া গ্রামে ১৯৩৫ সালে মনির উদ্দিন সরকার জন্মগ্রহণ কররেন। তিনি এন.জারিয়া ঝান্জাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিকতা দিয়ে কর্ম জীবন শুরু করে ছিলেন। ২০০০ সালে স্কাউটের সর্বোচ্চ এ্যাওয়ার্ড, ২০০১ সালে স্কাউটের শ্রেষ্ঠ প্রশিক নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। মনির উদ্দিন সরকার ২০০২ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত স্কাউট সমাবেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
স্মরনীয় ঘটনা :
১) ১৯৭৫ সালে জুন/ এপ্রিল মাসে এক টর্ণেডোতে জারিয়া আনসার ক্যাম্পটি বিধ্বস্থ হয়ে ছিল। সে সময় ১৮ জন আনসার সদস্য মারা গিয়েছিল। ৮১জন গুরুতর আহত হয়েছিল।
২) ২০০০ সালের ১০ এপ্রিল পূর্বধলা উপজেলার হোগলা, খলিশাপুর, পূর্বধলা সদর ও আগিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুর্নিঝড়ের কথা উপজেলাবাসী ভুলতে পারেনি।
৩) এছাড়া ১৪ এপ্রিল ২০০৪ সালে নেত্রকোণাসহ পূর্বধলা উপজেলার উপরদিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোও একটি স্মরণীয় ঘটনা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
১.পূর্বধলা জগৎমনি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯১৬ খ্রীঃ, পূর্বধলা সদর।
২.খলিশাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাতাকাল ১৯৬২ খ্রীঃ খলিশাপুর, পূর্বধলা।
৩.এন. জারিয়া ঝাঞ্জাইল উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৪৬ খ্রীঃ , জারিয়া, পূর্বধলা।
৪.ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় , প্রতিষ্ঠাকাল ১৯১৯ খ্রীঃ, ঘাগড়া, পূর্বধলা।
৫.জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬৭ খ্রীঃ, শ্যামগঞ্জ, পূর্বধলা।
৬.নারায়নডহর উচ্চ বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭০ খ্রীঃ, নারায়নডহর, পূর্বধলা।
৭.পূর্বধলা ডিগ্রী কলেজ ,প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬৯ খ্রীঃ, পূর্বধলা, নেত্রকোণা।
৮.শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর মহা বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল- ১৯৭২ খ্রীঃ, পূর্বধলা, নেত্রকোণা।
৯.পূর্বধলা রাবেয়া আলী মহিলা কলেজ, প্রতিষ্ঠাকাল- ১৯৯৪ খ্রীঃ, পূর্বধলা, নেত্রকোণা।
স্থানীয় এনজিও :
১. শিখা, জারিয়া, পূর্বধলা, নেত্রকোণা। ঋণদান কর্মসূচী।
২. আরবান, রাজপাড়া, পূর্বধলা, নেত্রকোণা। ঋণদান কর্মসূচী।
৩. জামকোণা কমিউনিটি সেন্টার, হোগলা, পূর্বধলা, (আত্মসামাজিক উন্নয়ন)।
-->

== আরও দেখুন ==

==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}

== বহিঃসংযোগ ==

{{নেত্রকোনা জেলা}}
{{ময়মনসিংহ বিভাগের উপজেলা}}
{{অসম্পূর্ণ}}

[[বিষয়শ্রেণী:নেত্রকোনা জেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নেত্রকোনা জেলার উপজেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহ বিভাগের উপজেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:পূর্বধলা উপজেলা]]

emoniskandar video

      video te download korte niser link a click koren

                               download now

purbadhala html

                               purbadhala html



HTML, XHTML এবং HTML5
HTML এর সর্বশেষ ভার্সন হচ্ছে HTML5। এইচটিএমএল ৫ এ এক্সএইচটিএমএল সকল নিয়ম অনুসরন করা হয়। কাজেই HTML 5 শিখলেই আগের ভার্সনগুলি অটোমেটিক শেখা হয়ে যাবে। তাই আমরাও ঐভাবে টিউটোরিয়ালগুলি দেব।
* W3C নামের এই সংস্থাটি HTML তৈরী এবং ম্যানেজমেন্ট করে।
* HTML 5 মুলত HTML ই তবে এখানে নতুন নতুন অনেক ট্যাগ এবং নিয়ম যুক্ত হয়েছে যেগুলির বর্ননা আমরা পরবর্তী টিউটোরিয়ালগুলিতে প্রয়োজন অনুসারে দিয়ে দেব।


নিচে একটা সাধারন এইচটিএমএল ডকুমেন্ট দেয়া হল এবং এর প্রতিটি অংশের বিস্তারিত বর্ননা করা হচ্ছে
01.<!DOCTYPE html>
02.<html>
03.<head>
04.<!--- JS/CSS file is to be added here -->
05. 
06.</head>
07.<body>
08. 
09.<h1>Webcoachbd demo heading</h1>
10. 
11.<p>demo content goes here.</p>
12. 
13.</body>
14.</html>
প্রথম লাইনটি <!DOCTYPE html> হচ্ছে ডকুমেন্টটি কি ধরনের তা বোঝানোর (ব্রাউজারকে) জন্য দেয়া হয়। এইচটিএমএল এর কোন ভার্সন ব্যবহার করবেন সেটার উপর ভিত্তি করেই এই ডিক্লেয়ারেশন টি দেয়া হয়। যেমন উপরের ডকুমেন্ট টি এইচটিএমএল ৫ এর একটি ডকুমেন্ট । এরুপ যদি এটা XHTML এর ১.০ ভার্সন হতো তাহলে ডিক্লেয়ারেশনটি দিতে হতো এভাবে
1.<!DOCTYPE html PUBLIC "-//W3C//DTD XHTML 1.0 Transitional//EN"
2."http://www.w3.org/TR/xhtml1/DTD/xhtml1-transitional.dtd">
এটা হচ্ছে ট্রানজিশনাল অর্থ্যাৎ এইচটিএমএল এর সকল কিছু এই্ ডকুমেন্টে লেখা যাবে সাথে সাথে deprecated এলিমেন্টগুলিও ব্যবহার করা যাবে যেমন font। ফ্রেমসেট ব্যবহার করা যাবেনা।
যাইহোক এভাবে "xhtml1-transitional.dtd" এর জায়গায় "xhtml1-strict.dtd" দিলে deprecated এলিমেন্টগুলি ব্যবহার করা যাবেনা।

** এখন HTML5 আসার পর এগুলি আর সাধারনত ব্যবহার করেনা। HTML 5 এর ডিক্লেয়ারেশন দেয়া হয়।
1.<!DOCTYPE html>


যাইহোক এটা খুব গুরত্বপূর্ন কিছু নয়। কপি করে (X)HTML ডকুমেন্ট লেখার শুরুতে পেস্ট করে দিলেই চলবে। তবে দিতে হবে কেননা না দিলে কিছু কিছূ ব্রাউজারে ঠিকমত আউটপুট আসেনা যেমন ইন্টারন্টে এক্সপ্লোরার (IE)।
বর্তমানে XHTML এই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে তাই এই সাইটেও HTML এর মুরব্বি XHTML এরই টিউটোলিয়াল দেয়া হচ্ছে, যদিও উচ্চারন করছি HTML আসলে সব এইচটিএমএল এর টিউটোলিয়ালগুলিতে আমরা XHTML এরই নিয়ম অনুসরন করেছি। আর একটা দরকারী কথা, HTML এর সর্বশেষ ভার্সন HTML 5 আসার পর এখনতো এটাই বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বের ওয়েবজুড়ে।
আমরা এইচটিএমএল ৫ এরও মুল বিষয়াদি পাশাপাশি আলোচনা করে যাব।